সেলিম উদ্দীনঃ

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে ভোগান্তিকে সাথী করে কোরবানি ঈদকে পুঁজি করে অতিরিক্ত ভাড়া এবং দীর্ঘ যানজটের কারণে দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা। এ দুর্ভোগ যেন ম্লান করে দিচ্ছে ঈদ আনন্দ। এরপরও প্রয়োজনের তাগিদে চলাফেরা করছে মানুষ। গত বুধবার থেকে ঈদগাঁও থেকে কক্সবাজারগামী পরিবহন সেক্টরের সর্বত্রই নৈরাজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঈদের দিন বুধবার বিকেল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ঈদগাঁও বাস ষ্টেশনে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। এ ক্ষেত্রেও নানা ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ঈদগাঁও বাসষ্টেশনে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার শহরমুখী মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে পরিবহন সেক্টরে কোথাও নিয়মের তোয়াক্কা করা হয়নি। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেছেন অনেকটা জোর করেই। সংশ্লিষ্ট পরিবহন মালিক সংগঠনগুলোর নীরব সমর্থন রয়েছে এতে। পাশাপাশি প্রশাসনের নীরবতা এ নৈরাজ্যে ছড়াচ্ছে উত্তাপ। মাঝখানে ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ জনগণের। ভোগান্তি আর দুর্ভোগের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ এসব লোকজন কোথাও কোথাও ঝগড়ায় লিপ্ত হচ্ছে পরিবহন চালক-হেলপারদের সাথে।
কক্সবাজার থেকে ফিরে আসা শাহজান সিরাজ নামের এক শিক্ষক বলেন, কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে ঈদগাঁওতে আসতে গুনতে হয়েছে ৬০ টাকা। অথচ স্বাভাবিক সময়ে আসতে ৩০টাকা নেয়া হতো। ঈদগাঁও বাস স্টেশন থেকে চকরিয়ায় ফেরা আসমা জানান, বাস স্টেশন থেকে চকরিয়া স্বাভাবিক সময়ে মাইক্রো ভাড়া ৩০ টাকা। কিন্তু এখন দাবি করছে ৫০ টাকা। খুটাখালী থেকে আসা শাহাব উদ্দীন বলেন, লোকাল চকরিয়া সার্ভিসে খুটাখালী থেকে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল পর্যন্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৬০টাকা। অথচ অন্যান্য সময়ে ৩০-৪০ টাকায় আসা-যাওয়া করতাম। এছাড়া চকরিয়া থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত স্বাভাবিক মাইক্রো ভাড়া নেয়া হয় ৫০ টাকা। কিন্তু গত বুধবার ৮০ টাকার নিচে মাইক্রো পাচ্ছি না।
আবদুল্লাহ নামের এক যাত্রী বলেন, লোকাল ঈদগাঁও লাইন,সী লাইন,হিল লাইন,চকরিয়া সার্ভিসে স্বাভাবিক সময়ে ভাড়া ৩০ টাকা হলেও ৫০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এদিকে কক্সবাজার মহাসড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন বাস, সিএনজি, মাইক্রো, ছার পোকা, ইসিসি পরিবহন, মাহিন্দ্রা, ম্যাজিক গাড়ি, কিরনমালা ও টমটম চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্য সময়ে যেখানে জনপ্রতি ১০ টাকা ভাড়া নেয়া হতো সেখানে অতিরিক্ত ২০-৩০ টাকা নেয়া হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।